৪র্থ দিন – চমরং ( ২১৭০ মিঃ ) থেকে হিমালয়া হোটেল ( ২৯০০ মিঃ )

চমরং

চমরং থেকে আমরা ৭.৩০ এর মধ্যে বের হয়ে গেলাম। অন্নপূর্ণা ট্র্যাকের সবচেয়ে বড় গ্রাম এই চমরং। প্রচুর পরিমাণ লজ আছে এখানে। বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ট্র্যাক শুরু করা সবাই এসে চমরং এ মিলিত হয়, এখান থেকে অন্নপূর্ণার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এখানে বলে রাখা ভালো ট্র্যাক শুরু করার অনেক স্টার্টিং পয়েন্ট আছে। আমরা যেমন শুরু করেছিলাম নয়াপুল থেকে। অনেকে নয়াপুল থেকে ঘান্দ্রুক না যেয়ে পুন হিলের দিকে চলে যায়, এতে সময় একদিন বেশি লাগবে। কিন্তু পুনহিল থেকে আপনি ধাওয়ালগিরি রেঞ্জের অসাধারণ ভিউ পাবেন।

কিন্তু আমাদের সময় আবহাওয়া অনেক খারাপ থাকায় পুন হিল স্কিপ করি। অনেকে নিউ ব্রিজ বা পোখারার অনেক কাছে ফেদি থেকে ট্রেক শুরু করে। কিন্তু যে যেখান থেকেই শুরু করুক না কেন, অন্নপূর্ণা যেতে হলে তাকে চমরং আসতেই হবে। তাই আমরা সকাল থেকে প্রচুর পরিমাণ ট্রেকার দেখতে পেলাম।
শুরুতে আমাদের আবার প্রায় ঘন্টাখানেক সিঁড়ি ধরে নামতে হবে। কয়েকজনকে দেখলাম নাক ফেটে রক্ত পড়ছে, বুঝতে পারলাম যে সিঁড়ি তে আছাড় খেয়ে এই অবস্থা। অলরেডি দুই বার আছাড় খেয়ে আমার কনফিডেন্স জিরো তে, তাই অতি সাবধানে পা ফেলতে লাগলাম।
এই এক ঘণ্টায় টানা শুধু নামা আর নামা, এক টুকরা সমতল ভূমি নাই। গাইড বলল, অন্নপূর্ণা থেকে ফেরত আসার সময় আমাদের আবার এই সিঁড়ি ধরেই উঠতে হবে, শুনে কলিজা শুকায় গেল। পরেরটা পরে দেখা যাবে ভেবে নামতে থাকলাম। চমরং এর একদম নিচের দিকে একটি পাইকারি দোকান পাবেন, যা যা কেনা লাগতে পারে বলে মনে হয় সব নিয়ে নিন। কারণ এখানে সব অর্ধেক দামে পাওয়া যায়। আমরা একটা ওয়াটার পিউরিফায়ার নিয়ে নিলাম। কারণ আমার বোতলের পর বোতল পানি লাগছিল। মাসল রিলাক্স রাখার জন্য প্রচুর পানি খাওয়ার কোন বিকল্প নাই।
কিন্তু লিটার প্রতি পানির দাম ততদিনে ৮০ রুপিতে চলে আসছে। এইভাবে এতো দাম দিয়ে পানি কিনতে হলে হাতের টাকা শেষ হতে বেশিদিন লাগবে না। তাই এই পন্থা। মিনারেল ওয়াটার ছাড়া নরমাল পানি ফ্রি রিফিল করা যায়। পাহাড়ের গোঁড়ায় যেয়ে আমরা আরেকটা ব্রিজ পার হলাম। এবং বরাবরের মতো শুরু হল আবার উপরে উঠা।
চমরং অন্নপূর্ণা নেপাল Chomrong Annapurna Nepal

চমরং থেকে নীচে নামার পর, সামনে আপার সিনুয়া

যখন শুরু করেছিলাম তখন আমাদের আশে পাশে প্রচুর ট্রেকার ছিল বিভিন্ন দেশের। তারাও যাচ্ছে একই দিকে। অনেককে দেখলাম হাচড়ে পাঁচরে সিঁড়ি দিয়ে উল্টো পথ ধরে উঠে আসছে, বুঝলাম তারা অন্নপূর্ণা দেখে ফিরে আসছে। কয়েকদিন পর আমাকেও তাদের জায়গায় থাকতে হবে ভেবে মনে আতংক অনুভব করলাম।
একে একে সবাই আমাকে ক্রস করে সামনে এগিয়ে যেতে লাগল, কারণ আমি ছিলাম সবচেয়ে স্লো। এর মাঝে দেখা হয়ে গেল গতকাল পরিচিত হওয়া ডেভিডের সাথে। তার বাবা মা তাকে বলেছে এগিয়ে যেতে, তারা পিছনে আস্তে আস্তে আসার চেষ্টা করবে। ডেভিড তাই ২ টা জার্মান মেয়ের সাথে যাচ্ছে এখন।
একসময় খেয়াল করলাম আমার সামনে পিছনে আর কেও নাই। আমার সামনে যারা ছিল তারা অনেক সামনে চলে গিয়েছে, আর পিছন থেকে ক্রস করার মতোও কেও নাই। নোমান আর আমাদের গাইড কেও দেখতে পাচ্ছিলাম না। তারা অনেকখানি এগিয়ে যেয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করে, আর আমি হেলতে দুলতে আস্তে আস্তে তাদের কাছে যাই। তারপর তারা আবার সামনে হারিয়ে যায়। এই রুটিন চলছে গত কয়েক দিন ধরে।

আপার সিনুয়া

আমি আসলে এই জিনিসটা এনজয়ই করছিলাম। একা একা নীরবে প্রকৃতি দেখতে দেখতে হেটে যাওয়া। কখনো কখনো চোখ বুজে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির শব্দ শোনার চেষ্টা করি। প্রায় দেড় ঘণ্টা উঠার পর আমরা পৌঁছলাম আপার সিনুয়া নামের এক যায়গায়। সেখানে দেখলাম আমার সামনে যারা ছিল সবাই বিশ্রাম নিচ্ছে। নোমানকেও পেলাম সেখানে।
আমাদের গাইড বলল সে চা খাবে, আমরা যাতে এগিয়ে যাই। রাস্তা এখন একটাই, তাই হারানোর ভয়ও নাই। আমরা চলা শুরু করলাম। আস্তে আস্তে ঢুকে গেলাম গভীর জঙ্গলে। এখান থেকে শুরু হল একটু পর পর ঝরনা পার হওয়া। যতগুলো ঝরনা দেখেছিলাম এই পুরো ট্রেকে তার সবগুলোর একটা করে ছবি তুলতে গেলে আমার ক্যামেরার মেমরি শেষ হয়ে যেত কিন্তু ঝরনা শেষ হতো না। একটু পর পর ছোট ছোট সব ঝরনা পাহাড়ের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলছে। আমরা বৃষ্টির মাঝে যাইয়ায় সব গুলো ঝরনাই তখন ফুল ফ্লো তে ছিল।বড় ঝরনাগুলোর উপর গাছের গুড়ি ফেলে ব্রিজ মতন বানানো আছে। সেগুলো আবার সব বৃষ্টিতে ভিজে পিছলা হয়ে আছে। সাবধানে পার হতে লাগলাম।
Annapurna Nepal

ঝরণার উপর গাছের গুড়ি দিয়ে বানানো সাঁকো

আমরা যেই পাহাড়ের পাশ ঘেঁষে উপরে উঠছিলাম তার ঠিক নিচে পাশ দিয়ে চলে গেছে ‘মোদীখোলা’ নদী। এই নদী নয়াপুল থেকে আমাদের সঙ্গ দিয়ে আসছে। যেখানেই যান না কেন, নদী দেখা না গেলেও তার ভয়ঙ্কর গর্জন সব সময়ই আপনাকে সঙ্গ দিয়ে যাবে। বৃষ্টির কারণে এই নদী আর ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। আমি দেখলাম নদীর পানি এসে পাথরে বাড়ি খেয়ে দশ পনের ফুট উপরে উঠে ছিটকে যাচ্ছে। এ এক ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য।
এদিকে যতই উপরে উঠছি ঠাণ্ডা ক্রমশই বাড়ছে। গত ২ দিনের ট্র্যাকিং এর পর জামা প্যান্ট সব ভিজে একাকার, শুকাবো যে তারও উপায় নাই। এই ঠাণ্ডায় ভিজা কাপড় চোপড় নিয়েই কাপতে কাপতে চলছি।এর মাঝে একবার আবার ছোট একটা ঝরনা পার হতে যেয়ে আমার আর নোমানের জুতার ভিতর পানি ঢুকে গেল। একে তো ঠাণ্ডা, তার উপর ভিজা মোজা, পায়ের আঙ্গুল সব ঠাণ্ডায় অবশ হয়ে যেতে লাগল।
চন্দ্র দা (গাইড) জানিয়ে দিলেন এতো ঠাণ্ডায় জোক থাকে না। শুনে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। অন্তত একটা চিন্তা তো কমল। সেই সকালে হাটা শুরু করেছিলাম, এখন বাজে ১ টার মতো। টানা হেটে যাচ্ছি, পায়ের ব্যথায় মনে হচ্ছিল যে এখনি হাঁটু ভেঙ্গে পড়ে যাব। কিন্তু একটু পর পর ভিউ আর সুন্দর সুন্দর ঝরনা দেখে এসব ভুলে যাচ্ছিলাম। ঘন্টাখানেক হাঁটার পর আমাদের খেয়াল হল যে আমাদের গাইড এখনো আসে নাই। ভয় হল যে ভুল রাস্তায় চলে আসলাম কিনা। নোমান আশ্বস্ত করল যে সে অন্য কোন রাস্তা দেখে নাই আসার সময়। তাই রাস্তা ভুল হওয়ার কোন চান্স নাই। তার প্রায় ১০ মিনিট পর চন্দ্র দা কে দেখা গেল।

দোভান

আমাদের এখনকার গন্তব্য ‘দোভান’(২৫০০ মিঃ)। হাটতে হাঁটতে যখন মনে হচ্ছিল যে এই শেষ, আর এক কদমও আমার পক্ষে নেয়া সম্ভব না, তখন চন্দ্র দা জানালেন আমরা দোভান চলে এসেছি। আমি ধপ করে একটা রেলিং মতো জায়গায় বসে পরলাম। দোভান জায়গাটা খুবই সুন্দর, ২ টা মাত্র লজ, তাও পরিপাটি করে সাজানো।  নোমান তো দেখেই বলল যে আজ আর সামনে যাওয়ার টার্গেট না থাকলে সে এখানেই থাকত।
ডেভিড গ্রুপ কে পেলাম এখানে। তারা আজ আর সামনে যাবে না, এখানেই থাকবে। তাদের জন্য হিংসা হল, তারা এখন এখানে আরাম করে হট শাওয়ার নিবে আর আমাকে ভিজা জামা জুতা প্যান্ট নিয়ে এই ঠাণ্ডায় আর ৪ ঘণ্টা (চন্দ্র দার কথা অনুযায়ী, বাস্তবে আর বেশি) হাঁটতে হবে। এখানে আমাদের পরিচয় হল এক মালয়েশিয়ান গ্রুপ এর সাথে। এই মালয়েশিয়ান গ্রুপ পরবর্তীতে আমাকে একটা বড় উপকার করেছিল, যা সামনে জানতে পারবেন।

বাম্বু

‘দোভানে’ ১০ মিনিটের মতো বিশ্রাম নিয়ে আবার যাত্রা শুরু হল। এবার গন্তব্য ‘বাম্বু’ (২৩১০ মিঃ)। ঐ জায়গায় আশে পাশে প্রচুর বাঁশ গাছ দেখেছিলাম, তাই বোধকরি এই নাম। আর উচ্চতা দেখেই হয়তো অনেকেই বুঝে গেছেন যে এবার আমাদের আবার নামতে হবে। প্রায় এক ঘণ্টা আমাদের উপরে উঠতে হল, খুব বেশি খাড়া ছিল না, কিন্তু টানা হাঁটতে থাকার ধকল শরীর আর নিতে পারছিল না।
আমার চলার গতি আগের চাইতেও কমে গেল। এক ঘণ্টা উঠার পর আবার আমাদের নামা শুরু হল। কিন্তু এই জায়গাটার ভিউ ছিল অসাধারণ। পাহাড়ের পাশ দিয়ে ঝরনা চলে যাছে, সেই ঝরনার উপর ছোট ছোট লোহার ব্রিজ। তার পাশে আবার বিশাল খাদ। ভুলে একবার পা হড়কালেই আর দেখতে হবে না। কিছু কিছু জায়গায় আবার পাশে তারকাটা দেয়া। বড় বড় পাথরের তৈরি সিঁড়ি বেয়ে আমরা নিচে নামতে লাগলাম। উল্টো দিক থেকে দেখলাম এক কোরিয়ান সিরি বেয়ে উঠে আসছে। তাকে মজা করার জন্য বললাম , আনলাকি, তোমাকে উপরে উঠতে হচ্ছে। বস আমাকে সেই একটা ফিলোসফি শোনায় দিল, ‘লাইফ ইস লাইক দিস, সাম টাইমস ইউ গো আপ, সামটাইমস ইউ গো ডাউন’ । আমি তো শুইনা তব্দা খাইয়া গেলাম।
Chomrong Annapurna Nepal

বাম্বুর পথে

তার প্রায় এক ঘণ্টা পর পৌঁছে গেলাম বাম্বু। জায়গাটা পাহাড়ের অনেক খানি নিচে। বাড়ি ঘর গুলো পুরানো জীর্ণ। কিছুক্ষণ আগেই দোভানের মতো জায়গা দেখে এসে আমাদের বাম্বু দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। চারিদিকে বড় বড় গাছ থাকার কারণে ভালো ভিউ ও পাওয়া যাচ্ছিল না। এখানে আমরা লাঞ্চ করার জন্য দাঁড়ালাম। তখন বাজে প্রায় দুপুর আড়াইটা।
সকালে একটু নুডুলস খেয়ে বের হয়েছিলাম। এতক্ষণে পেটের ভিতর কাবাডি খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে খিদায়। তাড়াতাড়ি লাঞ্চ অর্ডার করে দিলাম।এখানে আমার সাথে পরিচয় হল আমেরিকান জিম এর সাথে। তার সাথে আমার পরবর্তীতে আড়ও কয়েকবার দেখা হয়। সদা হাস্যোজ্জল একজন। সে বলল তার খুব ইচ্ছা বাংলাদেশ আসবে ঘুরতে, সময় করে উঠতে পারছেনা। বাংলাদেশে আসলে কই কই যাওয়া উচিত তার এক লিস্টি তাকে ধরায় দিলাম।
কিছুক্ষণ পর সে বিদায় নিয়ে চলে গেল ।আমি চেষ্টা করলাম বসে না থেকে একটু হাঁটাহাঁটি করতে যাতে শরীর ঠাণ্ডা না হয়ে যায়। কিন্তু হাঁটব কি, পা একটু বাঁকা করতে গেলাম, মনে হল কেউ যেন পায়ে গরম লোহার শিক ঢুকিয়ে দিল। ব্যথায় ককিয়ে উঠলাম। নিজকে বুঝালাম আর মাত্র ৩ ঘণ্টা, কোনমতে কষ্ট করে উঠে যেতে পারলেই হয়।
লাঞ্চ করে আবার শুরু করলাম। আমাদের গাইডের খাবার আসতে দেরি হবে দেখে তিনি বললেন আমরা যাতে চলা শুরু করি, দেরি হলে সন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে। এইবার আমার স্পিড আগের চেয়েও অর্ধেক হয়ে গেলো। প্রত্যেকটা কদমে মনে হল ব্যথায় চোখ দিয়ে পানি চলে আসবে। কিন্তু কাওকে কিছু বুঝতে না দিয়ে আস্তে আস্তে উঠতে থাকলাম, আর মনে মনে বলতে থাকলাম যে আর খালি ৩ ঘণ্টা, কোনমতে চলতে থাকি।

হোটেল হিমালয়া

আমাদের এইবারের গন্তব্য ‘হিমালয়া হোটেল (২৯০০ মিঃ)’। মানে প্রায় ৭০০মিঃ উঠে যেতে হবে এখন। এমনিতে এই উচ্চতা গত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতার কাছে কিছুই না, কিন্তু সকাল থেকে প্রায় ৭ ঘণ্টা হাটার পর এইটাই পর্বত সম লাগছিল ( পর্বতে উঠেছি পর্বত সম লাগাটা তো আসে 😛 )। আর কতগুলি ঝরনা পার হলাম। ঝরনা গুলোর পানি গুলো দেখে মনে হচ্ছিল এখনি লাফ দিয়ে পড়ি। কাচের মতো চকচকে পানি। কিন্তু এতো ঠাণ্ডা যে পানিতে আঙ্গুল দেয়া মাত্র আঙ্গুল অবশ হয়ে যাচ্ছিল।
Dovan Nepal দোভান নেপাল

দোভানের পথে

সন্ধ্যা প্রায় ৬ টার দিকে মনে হচ্ছিল যে আমি আর বাচবোনা। সাড়ে দশ ঘণ্টা ধরে হাঁটছি।আমার আর সেন্স কাজ করতেসিল না। আমি খালি রোবটের মতো এগিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার মাথায় খালি এইটাই ছিল যে সামনে নোমান আছে, ওর কাছে যেতে হবে, বাস। পরে জেনেছিলাম যে তারা নাকি আমাকে অনেক প্রশ্ন করেছিল যে শরীর বেশি খারাপ কিনা, হাটতে পারবো কিনা, আমার এইসব কিছুই মনে নাই। জানিনা কতক্ষণ পর ,গাইড বলল যে সামনের সিঁড়িটা পার হলেই শেষ। সেই ১৫ টা সিঁড়ি উঠতে আমার মনে হল যে অনন্তকাল লাগে গেল।
চমরং থেকে ৭.৩০ এ রওয়ানা দিয়ে আমরা হিমালয়া হোটেল পোঁছালাম সন্ধ্যা ৬.৩০ এ । প্রায় ১১ ঘণ্টা আমাদের হাঁটতে হয়েছিল। এই দিনটার কথা মনে পড়লে আমার এখনো গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে।
Himalaya Hotel Nepal Annapurna হিমালয়া হোটেল অন্নপূর্ণা নেপাল

হিমালয়া হোটেলে (২৯০০ মিঃ)

ঐদিন রাতে আমি ডিনার করার জন্য ডাইনিং এ যেতে পারি নাই, রুম থেকে হেটে যে ডাইনিং এ যাবো সে শক্তিও আমার ছিলনা। সারা শরীর কাঁপছিল। আমি টেনশনে পড়ে গেলাম যে জ্বর চলে আসে কিনা, বেস ক্যাম্প থেকে আর মাত্র ১ দিন দূরে আছি আমি, এতো কাছে এসে না যেতে পারলে তার চেয়ে কষ্টের আর কিছু নাই। আমি খালি দোয়া করতেছিলাম যে শরীর যত ব্যথাই হোক, জ্বর টর যেনো না আসে। রাতের খাবার গাইড আমার জন্য রুমে নিয়ে আসল, কিছুই খেতে পারলাম না। সকালে আমার কি অবস্থা হবে এই অনিশ্চয়তা নিয়ে ঘুমাতে গেলাম।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।