অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প ট্রেক (২য় পর্ব) – পোখারা থেকে ঘান্দ্রুক
২য়দিনঃ (পোখারা থেকে ঘান্দ্রুক)
কাঠমান্ডু
সকাল ৮.৩০ এ ফ্লাইট, তাই ৬.৩০ টার মধ্যে হোটেলের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে গেলাম। শামীম ভাই এর কথা মত এক ট্যাক্সি কে ডেকে জিজ্ঞাস করলাম মিটারে যাবে কিনা। যাবেনা জানি, এরাও আমাদের সিএনজি অলা দের মত (এখন অবশ্য সিএনজি মিটারে যায়, দেখা যাক কতদিন চলে), মিটারে যাবেনা, বলল ৭০০। শেষে ৩৫০ রুপিতে রফা হল। আমরা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে চলতে লাগলাম আর নোমান গতকালের লালু পান্ডেকে পাইলে কি কি করবে তার ফিরিস্তি দিতে লাগল। বেচারা গতকালের ৭০০ রুপির শক টা তখনো হজম করতে পারে নাই।
এয়ারপোর্টের ডোমেস্টিক টার্মিনাল যেয়ে জানলাম আমাদের চেক ইন এখনো শুরু হয়নি। কি আর করা, বসে বসে মাছি মারতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি সবাই ইয়েতি এয়ারলাইন্সের (আমরা ইয়েতি এয়ারলাইন্সে করে পোখারা গিয়েছিলাম) কাউন্টারের সামনে নতুন আরেকটা লাইন ফরম করছে। আমার সামনে দাঁড়ানো এক পাঞ্জাবি সর্দারজিকে খাঁটি ইংরেজিতে জিজ্ঞাস করলাম এইটাই আমাদের ফ্লাইটের চেক ইন এর লাইন কিনা। কিন্তু সে আমার চেহারা দেখে ধরেই নিল আমি ইন্ডিয়ান এবং হিন্দিতে বলা শুরু করল ‘কেহ রে হি ত ইয়ে হি হে লাইন, পাতা নেহি কাহা গেয়া ও লোক’। এইটা দিয়ে শুরু, এরপর অনেক বার লোকজনের কাছে আমাদের শুনতে হয়েছে যে ‘আপলোগ ইন্ডিয়া মে কাহা রেহতে হো’ । পরে তাদের বুঝাইতে হয় যে ভাই আমরা বাংলাদেশ থেকে আসছি ইন্ডিয়া না।
এয়ারপোর্টের সিকিউরিটি পার হয়ে, আমাদের ফ্লাইটের জন্য বসে আছি, তখন পরের দুঃসংবাদ টা আসল, পোখারা তে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আমাদের ফ্লাইট ডিলে, কখন ছাড়বে তারও কোনও ঠিক নাই। মনটা খারাপ হয়ে গেল, আমি বাস বাদ দিয়ে প্লেন এর টিকেট করেছিলাম শুধু সময় বাঁচানোর জন্য। কাঠমান্ডু থেকে সকাল ৭.৩০ এর দিকে সব টুরিস্ট বাস ছেড়ে যায় পোখারা র উদ্দেশ্যে। সময় লাগে ৮ ঘণ্টার মতো। খরচ পরবে ৬০০ রুপি। এই রাস্তার বর্ণনা পরবর্তীতে পাবেন । শুধু এইটা জানায় রাখি যে এই রাস্তার সৌন্দর্য নিয়ে চার পাঁচ পৃষ্ঠা অনায়াসে লিখে ফেলা যায়।
সেখানে আমাদের আরেফিন ভাইদের সাথে দেখা হয়ে গেল, তারাও একই এয়ারলাইন্সে পোখারা যাচ্ছে । শুরু হল অপেক্ষা। অনেকে দেখলাম চেয়ারের উপর সটান ঘুম দেয়া শুরু করল। নোমান বলল এক ডেক কার্ড কিনে আন, তাইলে সময় টা কাটানো যাবে। কার্ড কিনতে যেয়ে দেখি দাম ৪০০ রুপি। নোমান কে বললাম ঘুমায় ঘুমায় সময় পার করে দে ভাই, এই কার্ড কিনলে দুই দিন না খেয়ে থাকতে হবে।
আমাদের ৮.৩০ এর ফ্লাইট ছাড়ল ১০.৩০ এ। ফ্লাইট যে ক্যান্সেল হয়ে যায় নাই তাতেই আমি খুশি। পিচ্চি একটা প্লেন, ৩০ টা সিট। কোনও সিট নাম্বার নাই, আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে যে যেখানে সিট পাচ্ছে বসে যাচ্ছে। আমি তাড়াতাড়ি উঠে একটা উইন্ডো সিট বুঝে নিলাম। আমার ভয় হচ্ছিল প্লেন এর সাইজ দেখে, এই মুড়ির টিন মার্কা বিমান আমাদের মতো এতো লোক নিয়ে উঠতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ হচ্ছিল।
আমার সন্দেহ অমূলক প্রমাণ করে দিয়ে প্লেন ঠিকই উড়ল। এরপর যা হল তা পুরাই সার্কাস। কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হওয়াতে প্রচুর মেঘ ছিল, আর তার মধ্যে প্লেন ঢুকলেই শুরু হত ঝাঁকি। ঝাঁকির বহর দেখে মনে হচ্ছিল যে ঢাকার লোকাল বাসে বসে আছি। তারপর হটাত সামান্য ফ্রি ফল করে , আবার সিধা হয়ে চলতে থাকে। মাঝে মাঝে আবার ডানে বায়ে কাইত চিত হয়। অন্যরা দেখলাম নির্বিকার ভাবে বসে আছে। কিন্তু আমার উচ্চতা ভীতি থাকার কারণে আমি হাত পা শক্ত করে আল্লাহ আল্লাহ করতে লাগলাম। ২০ মিনিটের এই সার্কাসের পর আমরা চলে আসলাম পোখারায় ।
পোখারা
আমাদের ট্যুর অপারেটর আগে থেকেই আমাদের জন্য ট্যাক্সি নিয়ে অপেক্ষা করছিল, ট্যাক্সি নিয়ে চলে গেলাম আমরা তার অফিসে। সে আমাদের জন্য একজন পোর্টার কাম গাইড ঠিক করে দিয়েছিল। আমরা প্রতি দিন ১৬ ইউএসডি করে দিয়েছিলাম তাকে। গাইডের নাম ছিল ‘চন্দ্র কান্তি সুবেদি’ , আগামী ৭ দিন তিনি আমাদের সাথে থাকবেন ট্রেকে। ২ টা স্লিপিং ব্যাগ ভাড়া করলাম দিন প্রতি ৫০ রুপি হিসেবে, যেটা না করলেও চলত। সাধারণত সিজন টাইমে সবসময় ট্রেকের হোটেল গুলোতে পর্যাপ্ত কম্বল বা লেপ থাকে না, তখন স্লিপিং ব্যাগ সাথে না থাকলে ভীষণ বিপদে পরতে হবে। আমরা পিক সিজনে যাই নাই, তাই এই ধরনের কোনও সমস্যায় আমাদের পড়তে হয়নি।
অন্নপূর্ণা যেতে গেলে যেই ২ টা ডকুম্যান্ট লাগে, তা হল, এসিএপি আর টিমস কার্ড। ACAP মানে হলো Annapurna Conservation Area Permit, আর TIMS মানে হল Trekker Information Management System. সার্ক দেশভুক্ত দেশের জন্য জনপ্রতি ৬০০ রুপি করে লাগে ডকুম্যান্ট গুলোর জন্য। আমি আমার ট্যুর ম্যানেজারকে আগেই আমাদের পাসপোর্টের স্ক্যান কপি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম, সে তা দিয়ে আমাদের জন্য ইতোমধ্যে কাগজ পত্র সব রেডি করে রেখেছিল। আর নিজে করতে চাইলে পোখারায় ট্যরিস্ট অফিস আছে, সেখানে যেয়ে করতে পারেন, ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা না।
নয়াপুল
আমরা ট্রেক শুরু করেছিলাম নয়াপুল থেকে। এই এরিয়ায় , এই জায়গা তেই প্রথম ব্রিজ বানানো হয়েছিল, সেখান থেকে জায়গার নাম হয়ে গিয়েছে নয়াপুল, মানে নতুন পুল। কিন্তু এখন এলাকার সবচেয়ে পুরাতন ব্রিজ এটি। পোখারা থেকে ঐ আগের ট্যাক্সিতে করেই আমরা নয়াপুল আসি। ভাড়া লাগে ২০০০ রুপি। এর চেয়ে কমে পাওয়ার চান্স অনেক কম। সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘণ্টা। বিশাল বিশাল সব পাহাড়ের মাঝ দিয়ে যখন গাড়ি একে বেকে চলতে থাকবে, তখন দেড় ঘন্টা কোন ফাকে চলে যাবে টেরই পাবেন না। আমার মনে হচ্ছিল কি দরকার নামার, এইভাবেই যদি সারাজীবন চলতে পারতাম , এই পথ যদি না শেষ হয়। কিন্তু পথ শেষ হল, আর নয়াপুল থেকে শুরু হল আমাদের অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প এর উদ্দেশ্যে ট্রেকিং।
আমরা ইতোমধ্যে ২ ঘণ্টা পিছিয়ে আছি ফ্লাইট ডিলের কারণে, বেশি দেরি হলে আমাদের প্রথম দিনের গন্তব্যে পৌছাতে পৌছাতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। আমাদের আজকের টার্গেট ‘ঘান্দ্রুক’ । দুপুরের খাবার খাব ‘বিরেঠান্তি’ তে। অলরেডি দুপুর হয়ে গেছে, তাই আমরা পা চালিয়ে হাটতে লাগলাম। ‘বিরেঠান্তি’ পর্যন্ত রাস্তা মোটামুটি সমতলই বলা যায়। মাঝে রাস্তার পাশের এক দোকান থেকে ৩ টা বড় পলিথিন নিয়ে নিলাম বৃষ্টি আসলে ব্যাগ ঢাকার জন্য। এইগুলো নরমাল ব্যাগ কাভারের চেয়ে দামে কম, কাজ ও করে ভাল।
বিরেঠান্তি
বিরেঠান্তি পর্যন্ত আসতে আসতে ২ টা বেজে গেল। সেখানে এক রেস্টুরেন্টে বসে আমি ডাল ভাত আর নোমান ফ্রাইড রাইস অর্ডার করল। এখানে একটা চেকপোস্টে আমাদের কাগজ পত্র চেক করে সিল দিয়ে দেয়া হল। ২.৪০ এর দিকে আমরা লাঞ্চ শেষ করে রওয়ানা দিলাম ঘান্দ্রুক এর উদ্দেশ্যে। প্রত্যেকে ১ লিটার মিনারেল পানি নিয়ে নিলাম, এইখানে দাম পড়েছিল ৫০ রুপি, যেইটা পরবর্তীতে বাড়তে বাড়তে ১৫০ রুপিতে যাবে। একটা কথা বলে রাখি, এখানে খাবার ও অন্যান্য সব কিছুর দাম উচ্চতার সাথে সমানুপাতিক হারে বাড়ে। বেস ক্যাম্পে ২ টা সিদ্ধ ডিমের দাম ২৫০ রুপি ।
আমি আমার বড় ব্যাগ আমাদের গাইড কাম পোর্টার চন্দ্র দা কে দিয়ে দিলাম। বেসিক কিছু জিনিস যেমন রেইনকোট, ডিএসএলআর, পানি এইসব আমার একটা ছোট ব্যাগে নিয়ে আমার কাছে রাখলাম। নোমান বলল সে তার নিজের ব্যাগ নিজেই ক্যারি করবে (ব্রাভো ম্যান)। সে এক কালের রেগুলার ফুটবল প্লেয়ার, এখন চাকরির কারণে নিয়মিত না হলেও সপ্তাহে একবার খেলতে যায়, তার ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নাই (যদিও তার এজমার সমস্যা আছে)।
ঝামেলা তো সব আমাকে নিয়া। যারা কখনো পাহাড়ে উঠে নাই, তারা কল্পনাও করতে পারবে না কতটা পরিশ্রমের কাজ এইটা। আমার ১২০ কেজি শরীর নিয়ে তো হাটাই মুশকিল, পাহাড় বাওয়া তো দূরের বিষয়। তাও একটা সময় রেগুলার খেলাধুলা করতাম, সাইক্লিং করতাম আশি নব্বই কিলো, সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলে এসেছি। কিন্তু ৪১৩০মিটার উঠা চাট্টি খানি কথা নয়, এর আগে আমার সর্বোচ্চ ছিল বান্দরবানে কেওক্রাডং, ৯৮৬ মিটার। সেও বগা লেক থেকে, বগা লেক নিজেই ৭৮২ মিটার উপরে, সো খুব বেশি কিছু না সেটা।
বিরেথান্তি থেকে আপহিল শুরু হল। সেইটাও বেশি কিছু না, কিন্তু তাতেই আমার হাফ ছুটে গেল। এইভাবে ঘণ্টা দেড়েক হাটার পর শুরু হল আসল পাহাড় বাওয়া। খাড়া উঁচু উঁচু সিঁড়ি বেয়ে শুধু উঠে যাওয়া আর উঠে যাওয়া। মাঝে যে একটু সমতল আসবে যে একটু দম নিব, তার সুযোগ নাই। ঘণ্টা খানেক ধরে শুধু মনে হয় উঠেই গেলাম। এর মাঝে একটু পর পর দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। গত ২ বৎসর ধরে কোনও রকম ব্যায়াম ট্যায়াম নাই। এর মাঝে ২ দিন ধরে জার্নি করে হটাৎ করে পাহাড় বাওয়া শুরু করার ধকল শরীর নিতে চাইছিল না। ঐদিকে নোমান পত পত করে উঠে চলে যাচ্ছে। আর আমার গাইড তো এক মেশিন, সে কনস্ট্যান্ট স্পিডে উঠতে আছে তো উঠতেই আছে।
এইভাবে কিছুদূর হাঁটার পর একটা গাড়ির রাস্তায় এসে উঠলাম, ততক্ষণে আমার কথা বলার শক্তিও শেষ। একটা বাস এসে দাঁড়ালো আমাদের সামনে, বলল লাস্ট স্টপেজ এ নামায় দিবে, ২০০ টাকা ৩ জন। আমি ভাবলাম বাস যেখানে নামাবে সেখানেই বুঝি আমাদের আজকের গন্তব্য। নোমানকে ইশারা করলাম যে নিয়া নে, কারণ সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে, পরে আলো চলে গেলে অন্ধকারে ট্রেকিং করতে যেয়ে বিপদে পড়ব।
বাস প্রায় ১৫ মিনিট পর আমাদের একটা জায়গায় নামিয়ে দিল। চন্দ্র দা কে জিজ্ঞাস করলাম , এইখান থেকে কতদূর? আমার ধারনা ছিল হয়তো ৩০ মিনিট টাইপ কিছু দূর হবে। চন্দ্র দা বলল আরও আড়াই ঘণ্টা, শুনে মনে হল যে এখনি রাস্তায় শুয়ে পড়ি। কারণ ততক্ষণে আমার শরীরের সব শক্তি শেষ, আড়াই ঘণ্টা আরও পাহাড়ে উঠা তো অসম্ভব।
ঘান্দ্রুক
কিন্তু কিছু করার নেই, সো আবার হাটা শুরু। পথে দুই ভাইয়ের সাথে দেখা হল, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে। কিন্তু তারা শুধুমাত্র ঘান্দ্রুক পর্যন্ত যাবে। তাদের সাথে গল্প করতে করতে আমরা এগুতে থাকলাম। আসলে গল্প যা করার করেছে নোমান, আমি তো দম নিতেও পারতেসিলাম না ঠিক মতো। আমার অবস্থা দেখে তাদের একজন বলল ‘আপনার এখনি যা অবস্থা আপনি বেস ক্যাম্প পর্যন্ত কিভাবে যাবেন? আপনি বরং ঘান্দ্রুক থেকে ব্যাক করেন’।
আমি মনে মনে বললাম, এতো দিনের স্বপ্ন নিয়ে এখানে এসেছি, দরকার হলে মরে যাব, তাও বেস ক্যাম্প না যেয়ে আমি ব্যাক করতেছি না। আসলে আমার এই হার না মানা মানসিকটার কারণেই আমি ট্রেক টা শেষ করতে পেরেছিলাম। আমি নোমানকে বলেছিলাম, দরকার হলে আমি হামাগুড়ি দিয়ে হলেও উঠব, তাও আমি যাব। তা নাহলে এই ট্রেক দেয়া আমার মতো আনফিট লোকের কম্ম নয়।
শেষ মেষ চন্দ্র দা’র বলা আড়াই ঘন্টার রাস্তা আমরা ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিটে শেষ করে ঘান্দ্রুক পৌঁছলাম। ততক্ষণে সন্ধ্যা ৭ টা বাজে। আমার মনে হল যে আমি আর জীবনে হাটতে পারবনা। হোটেলের সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠতে আমার খবর হয়ে গেল। তার উপর পুরো রাস্তায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে জামা, জুতা প্যান্ট সব ভিজে একাকার। আর বাতাসের আর্দ্রতাও এতো বেশি যে এগুলো বাইরে নেড়ে দিলে এ শুকাবে তারও কোনও গ্যারান্টি নাই। আমি রুমে এসে ধপাস করে বিছানায় পড়লাম, বিছানায় শুয়ে এতো শান্তি মনে হয় এর আগে জীবনে কখনো পাই নাই।
নয়াপুল হচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১০৬০ মিটার উপরে। আর ঘান্দ্রুক ২০২০ মিটার। মানে ১ দিনে আমাদের প্রায় ১০০০ মিটার উঠতে হয়েছিল। আমার মনে আছে আমি যখন প্রথম কেওক্রাডং উঠি বগা লেক থেকে, আমার মনে হয়েছিল যে বিশ্বজয় করে ফেলেছি। অথচ বগা লেক থেকে কেওক্রাডং মাত্র ২০০ মিটারের মতো উঁচু। এতো পেইন খাওয়ার পর আমার কনফিডেন্সও একটু কমে গিয়েছিল, ভাবতে লাগলাম এইটুকুন উঠতেই যদি এই অবস্থা হয়, এখনো পুরো ট্রেকের ৪ ভাগের ৩ ভাগই উঠা বাকি। মনে মনে প্রমাদ গুনলাম, কিন্তু কাওকে কিছু বললাম না। ভাবলাম দেখা যাবে যা হয়। একটু পর ডাইনিং এ যেয়ে রাতের খাবার খেয়ে দিলাম ঘুম।
লেখা ভালো লাগলে নিচে লাইক বাটনে ক্লিক করে শেয়ার করুন
পরবর্তী লেখা গুলোর আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন